অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ‘জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে সহিংসতা রোধে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। নির্বাচনে সহিংসতা বন্ধে নির্বাচন কমিশনকে আরও বেশি শক্তিশালী করতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে নির্বাচনী সহিংসতা ঠেকানো যাচ্ছে না। আমাদের শপথ নিতে হবে নির্বাচনে যায় হোক কোনো সহিংসতায় যাবো না।’
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে মোহাম্মদপুরে ওয়াইডাব্লিউসিএ’র সম্মেলনকক্ষে নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী ধর্মীয় সম্প্রীতি সুরক্ষা বিষয়ে আন্তঃধর্মীয় সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা।
এ সংলাপের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রুরাল অ্যান্ড আরবান পুওর্স পার্টনার ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (রূপসা)। এতে সহায়তা করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)। সংলাপে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সবাইকে মিলেমিশে বসবাস করার আহ্বান জানানো হয়।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন রূপসার নির্বাহী পরিচালক হিরণ্ময় মণ্ডল। সভায় রাজনীতিবিদ, ধর্মীয় নেতা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আইআরআই’র রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ক্রেগ হ্যালস্টেড। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইআরআই’র সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় প্রচার সম্পাদক সুরেশ চক্রবর্তী।
প্যালেন আলোচক ছিলেন, গাজীপুর আল-আকসা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোতাহার হোসেন আজাদী, কল্যাণপুর ক্যাথলিক চার্জের পাস্টর বিষ্ণুপদ রোমিও, ঢাকার শ্রী শ্রী কালী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পণ্ডিত প্রকাশ চক্রবর্তী, মিডফোর্ড টাউন জামে মসজিদের ইমাম ওমর ফারুক।
অংশ নেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিরা বলেন, নির্বাচনী সহিংসতা ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া তথ্যগুলো কোন বিশ্বস্ত সূত্র থেকে আসছে কিনা সেটা আগে দেখতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ ছড়ানো অনেক তথ্য আমরা সত্যতা যাচাই ছাড়াই শেয়ার করছি। আমাদের উচিত সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে তথ্য শেয়ার করা।
আরেক শিক্ষার্থী রুদ্র বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে নির্বাচনী সহিংসতা ঠেকানো যাচ্ছে না। আমাদের শপথ নিতে হবে নির্বাচনে যায় হোক কোনো সহিংসতায় যাবো না। যদি কোনো অনিয়ম হলে, দেশের বিচারব্যবস্থা আছে।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, বাস্তব জীবনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অসহিষ্ণু আচরণ, ঘৃণাবাচক বক্তব্য এবং অপতথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। এজন্য যথাযথ ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করতে হবে। ধর্মীয় ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দেখানো ও সহিংসতা রোধে ধর্মীয় নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলেও মত দেন বক্তারা। পাশাপাশি সামাজিকমাধ্যমে তথ্য ব্যবস্থাপনা শেখাতে শিক্ষাক্রমে নাগরিকত্ব শিক্ষা ও গণমাধ্যম স্বাক্ষরতা যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তাও উঠে আসে আলোচনায়।
এসময় বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোটের সাংগঠনিক রঞ্জন সরকার, ছাত্রলীগের উপ-সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক হামজা রহমান অন্তর, জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সম্পাদক উৎপল ভৌমিক, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলয় পাল, ব্যবসায়ী সঞ্জয় দেবনাথ, আব্দুর রব গাজী, রফিকুল ইসলাম রানা, শিক্ষার্থী প্রথমা চাকমা, তানজিম মালিহা, আজিজুল হক রমেল, তাহমিদ বিন জামান প্রমুখ।
Leave a Reply